জ্বালানি তেলের দামে বৃদ্ধির ঝুঁকি, বিশ্ব অর্থনীতি অনিশ্চয়তায়

করোনা পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতি এখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবেগে অমিল। এই যুদ্ধে বিশ্বের উচ্চমূল্য এবং মূল্যস্ফীতির চাপ তৈরি হচ্ছে, এটি বিশ্লেষকদের মধ্যে মোটামুটি বুঝানো যাচ্ছে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এ সংক্রমণের ফলে বিশ্ব অর্থনীতি সাম্রাজ্যিক চূড়ান্ত পর্বে আছে, এই আতঙ্কে তার অব্যাহত উচ্চমূল্য এবং মূল্যস্ফীতির চাপের চরম চাপও আরও বাড়তে পারে। এই যুদ্ধ একটি অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ দুর্বল প্রবৃদ্ধির সাথে যুক্ত হতে পারে, এবং এতে বড় অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে আরও বিভক্তি তৈরি হতে পারে।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়ারে-ওলিভিয়ার গোরিনকাসের মতে, জ্বালানি তেলের দামের বৃদ্ধি বিশ্ব প্রবৃদ্ধির ০.১৫ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। তিনি আরও জোর দিয়ে দেখাচ্ছেন, এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং সৌদি আরব, ইরান, কাতারের মতো জ্বালানি তৈরি দেশগুলো শীর্ষ জ্বালানি উৎপাদক নও হতে পারে, বরং সুয়েজ খালের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথের চাপও বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেছেন, ‘এ যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ঝুঁকি ও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।’

সিএনএন বিজনেসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি অনিশ্চয়তায় পড়েছে এবং এর পরিস্থিতি প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী হয়েছে। এ সংকট আঞ্চলিক ছাড়া বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং বিশ্বের বড় অর্থনৈতিক দেশগুলোর আন্তঃসংযোগে নতুন ফাটল তৈরি হতে পারে।

এই সংকটের ফলে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে পারে এবং ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারে উঠতে পারে, এটি দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা হয়েছে। তাদের অনুসারে, এর ফলে রাশিয়ার সুবিধা হতে পারে, তাদের তারা তাদের থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করতে পারে।