নিফটি ৫০-তে অন্তর্ভুক্তির পর ট্রেন্ট ও বিএল শেয়ার ৩% পর্যন্ত পতন

সোমবার নিফটি ৫০ সূচকে অন্তর্ভুক্তির পর ভারতের ভরতের ইলেকট্রনিক্স (বিএল) এবং ট্রেন্টের শেয়ার মূল্যে পতন লক্ষ্য করা গেছে। নিফটি ৫০ সূচকে অন্তর্ভুক্তির পর এই দুই কোম্পানির শেয়ারগুলি ৩% পর্যন্ত নিচে নামে।

কী ঘটেছে:

শুক্রবার বাজার বন্ধের পরে ট্রেন্ট ও বিএল নিফটি ৫০ সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই অন্তর্ভুক্তির পর, নুভামা অলটারনেটিভ রিসার্চ জানায় যে, ট্রেন্টে প্রায় $৪৯৫ মিলিয়ন (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ₹৪১৪১ কোটি) এবং বিএলে প্রায় $৩৩৬ মিলিয়ন (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ₹২৮১১ কোটি) বিদেশি বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাজারের প্রতিক্রিয়া:

সোমবার নিফটি ৫০ সূচক নিজেও ১% এর বেশি কমে যায়, যার প্রভাব ট্রেন্ট ও বিএলের শেয়ারের মূল্যে পড়ে। নিফটি ৫০ সূচকের পতনের সাথে সাথে ট্রেন্ট ও বিএল শেয়ারও নিম্নমুখী ছিল।

বিএল-এর সাম্প্রতিক অগ্রগতি:

বিএল সম্প্রতি ইজরায়েলের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগের অনুমোদন পেয়েছে, যার ফলে বিএল আইএআই এরো সিস্টেমস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই যৌথ উদ্যোগের লক্ষ্য হবে ভারতের মিডিয়াম-রেঞ্জ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (এমআরএসএএম) সিস্টেমের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন পণ্যের সমর্থন প্রদান করা।

বিশ্লেষকদের মতামত:

ম্যাকুয়ারি সম্প্রতি বিএল-এর জন্য একটি “আউটপারফর্ম” রেটিং বজায় রেখেছে এবং ₹৩৫০ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই ব্রোকারেজ সংস্থার মতে, বিএল ২০২৫ অর্থবছরের জন্য তার লক্ষ্যমাত্রার দিকে স্থিরভাবে এগোচ্ছে। এটি বিএল-এর দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধি ও কার্যক্রমের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেছে।

ট্রেন্টের বাজার সম্ভাবনা:

ট্রেন্টও সাম্প্রতিককালে বিশেষ মনোযোগ পেয়েছে, কারণ সিটি তাদের গবেষণায় ট্রেন্টকে “বাই” রেটিং দিয়ে ₹৯২৫০ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সিটি আশা করছে, ট্রেন্ট ৪১% রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি ৪৪% ইবিআইটিডিএ (EBITDA) বৃদ্ধি এবং ৫৬% বার্ষিক গড় লাভের হার বজায় রাখতে পারবে।

বড় বিনিয়োগ:

একই সময়ে, এক্সান্ডার গ্রুপের সিদ্ধার্থ যোগ গত মাসে ট্রেন্টের ৬৪.৫৯ লাখ শেয়ার কিনেছেন, যার মোট মূল্য ₹৪৬৭১ কোটি। এই বিশাল বিনিয়োগ ট্রেন্টের বাজারে আরও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে এবং কোম্পানির শেয়ারের মূল্যের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।

উপসংহার:

নিফটি ৫০ সূচকে অন্তর্ভুক্তির পর ট্রেন্ট ও বিএল-এর শেয়ার মূল্যে পতন লক্ষ্য করা গেলেও, এই দুই কোম্পানি যথাক্রমে তাদের স্বতন্ত্র অগ্রগতি এবং বাজারের প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী সামনে এগিয়ে চলেছে